রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুতই এ সেবা স্বাভাবিক হবে না বলে রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক।
এমদাদুল হক বলেন, বিল্ডিংয়ে ঢোকার আগে আমরা বলতে পারছি না, কবে নাগাদ সেবা স্বাভাবিক হবে। তবে যদি ইকুইপমেন্ট (যন্ত্রপাতি) পুড়ে গিয়ে থাকে তাহলে সেবা স্বাভাবিক হতে দু-এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আর যদি ইকুইপমেন্ট ঠিক থাকে তাহলে সবকিছু ঠিক হতে এক-দুই দিন সময় লেগে যাবে।
তিনি বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, আমরা নেটওয়ার্কস, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজি পুড়ে গেছে। ফলে আমরা এরইমধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ হারিয়েছি। সারাদেশের ৫৫০-৬০০ আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধের পর্যায়ে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইডথ আসে খাজা টাওয়ারের দুটি ডাটা সেন্টার থেকে। এই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ৭০ শতাংশ দিয়ে থাকে। তাদের ডাটা সেন্টারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
একই কারণে মুঠোফোন সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারিগরি কারণে তাদের কিছু গ্রাহক কল করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। দ্রুততম সময়ে এ সমস্যার সমাধানে তারা চেষ্টা করছে।