জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা ইউএনআরডব্লিউএ’র গুদাম ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে প্রবেশ করে ময়দা ও ‘বেঁচে থাকার মৌলিক সামগ্রী’ কেড়ে নিয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিউএ’র অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক টমাস হোয়াইট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ যে, গাজায় তিন সপ্তাহের যুদ্ধ এবং কঠোর অবরোধের কারণে বেসামরিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষজন ভীত, হতাশ ও মরিয়া। ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তেজনা ও ভয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মানুষজন মনে করছে, তারা গাজায় তাদের পরিবার ও বাকি বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। দোকানগুলোতে কোনো খাবার মিলছে না। মিশর সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় যে মানবিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে তা অপর্যাপ্ত।’
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেছেন, গাজায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এই ব্ল্যাকআউটের কারণে শনিবার গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক কোনো সাহায্য প্রবেশ করেনি।
তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘গাজায় যোগাযোগ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় মানবিক সংস্থাগুলো মিশরীয় রেড ক্রিসেন্ট বা জাতিসংঘের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না।’
শনিবারের আগে পর্যন্ত মিসরের রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজায় ৭ দিনে মাত্র ৮৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ২৩ লাখ মানুষের জন্য এ পরিমাণ ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় একবারেই ‘অপ্রতুল জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, গাজাবাসীর জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রয়োজন।