বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন গাজা এখন সম্পূর্ণ অন্ধকারে নিমজ্জিত। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং অন্যরা টর্চ হাতে শনিবার রাতে ইসরায়েলি হামলায় ভেঙে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া লোকদের সন্ধান করেছেন। ধাতব ও ভারী কংক্রিটের বড় স্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকা লোকদের সন্ধানে পুরুষরা খালি হাতেই খনন কাজ চালাচ্ছেন।
কোনো হতাহতের সন্ধান পেলেই চিকিৎসকরা ছুটে আসছেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যারা বেঁচে নেই, তাদের কাছাকাছি মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আজাইজা রোববার উদ্ধার তৎপরতার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই ব্যক্তি বলেছেন, লোকেরা বলছে বাড়িটি বাসিন্দাদের উপর পড়েছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান মাঝরাতে বাড়িতে বোমা বর্ষণ করেছে।’
ক্যামেরার পিছনে একজন লোককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কোথায় যাব? সব শিশুই এখন শহীদ।’
বোমা বিস্ফোরণ এবং উদ্ধার অভিযান সকাল পর্যন্ত চলেছিল। যেসব শিশু হামলায় নিহত হয়েছে তাদের দেহ একটি গাড়ির হুডের উপর শুইয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেহগুলো স্পন্দনহীন ও রক্তাক্ত। আজাইজা ভিডিওটির ক্যাপশন দিয়েছেন: ‘রান্দা, নাবিল, হাসান ও লানার সকাল।’