আগের ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকারের ঘরের মাঠ মুম্বাইতে সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৮৮ রানে আউট হন। মাত্র ১২ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি।
তবে আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলির ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনে আজ ছুঁয়ে ফেলেন শচীনের রেকর্ড। ১১৯ বলে ১০ চারে সেঞ্চুরি করে হয়ে যান ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান। ৩৫তম জন্মদিনে কোহলির এটা ৪৯তম সেঞ্চুরি। শচীন ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলেন ওয়ানডের ৪৯তম ও ক্যারিয়ারের শততম সেঞ্চুরি।
৪৯ সেঞ্চুরি করতে শচীনের লেগেছিল ৪৫১ ইনিংস। অন্যদিকে কোহলি ৪৯তম সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৭৭ ইনিংসে। আজ ছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৮৯তম ম্যাচ।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে এটা ছিল কোহলির দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন আরও একটি সেঞ্চুরি। ১০৮.৪০ গড়ে, ২ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে, ৮ ইনিংসে বিশ্বকাপে তার মোট রান ৫৪২। তার সামনে আছেন কুইন্টন ডি কক। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৭৭.৮৫ গড়ে ৭ ইনিংসে তার মোট রান ৫৪৫।
২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাত্র ২১ বছর বয়সে কোহলি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার মেইডেন সেঞ্চুরি করেন। ১১ চার ও ১ ছক্কায় করেছিলেন ১০৭ রান।
এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য কোহলির ব্যাট হাসছে খুব। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ৮৫ রান। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ৫৫ রান। পাকিস্তানের খেলেন ১৬ রানের ইনিংস। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ১০৩ রান। পরের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ৯৫ রানের ইনিংস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। আউট হন শূন্যরানে। তবে পরের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন ৮৮ রানের ইনিংস। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করলেন অপরাজিত ১০১ রান।
বিশ্বকাপে তার আট ইনিংস যথাক্রমে- ৮৫, ৫৫, ১৬, ১০৩, ৯৫, ০, ৮৮ ও ১০১*।