শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে (এসএলসি) নিষিদ্ধ করলো আইসিসি। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসিতে তাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয় এবং অবিলম্বে সেটি কার্যকর হবে। আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে এক মিডিয়া রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এই স্থগিতাদেশ তুলে নিতে না পারলে আইসিসির কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না তারা। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা টুর্নামেন্ট খেলার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়বে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য ডিসেম্বরের আগে শ্রীলঙ্কার আর কোনো আন্তর্জাতিক খেলা নেই। এছাড়া জানুয়ারির আগে আইসিসির কাছ থেকে তারা কোনো তহবিলও পাবে না। সেক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা অথবা স্থগিতাদেশ দেশটির ক্রিকেট কিংবা বোর্ডের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
অবশ্য এসএলসি সরকারি হস্তক্ষেপ মুক্ত হলে বিবেচনার মাধ্যমে স্থগিতাদেশ দ্রুতই তুলে নিবে আইসিসি।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের ভরাডুবির কারণে গত সোমবার (০৬ নভেম্বর) তাদের বোর্ডকে বরখাস্ত করে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গঠন করে অন্তর্বতীকালিন কমিটি। যেটার প্রধান করা হয় বিশ্বকাপ জয়ী তারকা অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে।
কিন্তু পরদিন দেশটির আদালত অন্তবর্তীকালিন এই কমিটির কার্যক্রম দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। তাতে বরখাস্ত হওয়া ক্রিকেট বোর্ড পুনর্বহাল হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিত আজ জরুরিভিত্তিতে সভা ডাকে আইসিসি বোর্ড। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে তারা ঐক্যমতে পৌঁছায় যে, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে। বিশেষ করে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনায় সদস্যপদ হারানোর একাধিক নিয়ম ও বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ করে তারা। তারই প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করে আইসিসি।
স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে যতোদিন পর্যন্ত তারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ না পাবে ততোদিন এই স্থগিতাদেশ থাকবে।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ৭টিতেই হেরেছে লঙ্কানরা। তার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মানে। ওই ম্যাচে তারা বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন ৫৫ রানে অলআউট হয়। লিগপর্বের পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে থাকায় ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না পারার শঙ্কায়ও আছে দেশটি।