যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কয়েক বছর ধরে চলা কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠকের পর এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের আগে সান ফ্রান্সিসকো থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটে চীনা নেতাকে বুধবার বাইডেন স্বাগত জানান।
কজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই নেতার মধ্যে তাইওয়ান নিয়ে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ আলোচনা হয়েছে। বাইডেনকে শি জানিয়েছেন, তাইওয়ান নিয়ে দুটি পরাশক্তির মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে বড় ও বিপজ্জনক সমস্যা। আগামী দিনগুলোতে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কোনো পরিকল্পনা নেই চীনের। তবে কোন পরিস্থিতিতে শক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে।
জবাবে বাইডেন ‘তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।’ তিনি শিকে তাইওয়ানের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সম্মান করতে বলেছেন।
বেইজিং জানিয়েছে, দুই নেতা সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ২০২২ সালের আগস্টে তাইওয়ান সফর করার পরে এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। উভয় দেশ যেন সামরিক সংলাপকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় সে ব্যাপারে বাইডেন ‘স্পষ্ট’ অনুরোধ জানিয়েছেন।
বৈঠকে দুই শীর্ষনেতা সরাসরি যোগাযোগের ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন। বলেছিলেন যে তিনি এবং শি উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগে সম্মত হয়েছেন।
বাইডেন বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সরাসরি ফোন কলের ব্যাপারে এবং আমাদের কথা যাতে অবিলম্বে মানা হয় সে ব্যাপারে তিনি (শি) এবং আমি সম্মত হয়েছি।’