হামাসের হাতে আটক থাকা ৫০ জনের মতো জিম্মিকে (নারী ও শিশু) মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। এই চুক্তিতে ইসরায়েল ও হামাসকে সম্মত করতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার।
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা গাজায় যুদ্ধবিরতির বহুল প্রত্যাশিত প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জো বাইডেন হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির চুক্তিকে বিশেষ করে স্বাগত জানিয়েছেন।
বাইডেন কাতারের শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ও মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসিকে ‘এই চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তাদের নেতৃত্ব এবং অংশীদারিত্বের জন্য’ ধন্যবাদ দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি পরিবারের দুঃখকষ্ট দূর করার জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার সুযোগ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সরকার যুদ্ধবিরতি সমর্থনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার প্রশংসা করি। আমি এই নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। কারণ আমরা এই চুক্তিটি সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য কাজ করছি।’
বাইডেন আরও যোগ করেন, ‘এই চুক্তির সব দিক সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার বিবৃতিটিতে মার্কিন জিম্মি নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
বাইডেন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হিসেবে, জিম্মি আমেরিকানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেয়ে আমার কোনো উচ্চ অগ্রাধিকার নেই। এ কারণেই- হামাসের নৃশংস হামলার প্রথম মুহূর্ত থেকে- আমার জাতীয় নিরাপত্তা দল এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে আমি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি; মার্কিন নাগরিকসহ সব জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতে সম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য। আমরা অক্টোবরের শেষের দিকে সেই প্রচেষ্টার প্রথম ফলাফল দেখেছিলাম, যখন হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া দুজন আমেরিকান তাদের প্রিয়জনের সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিল। আজকের চুক্তিটির ফলে আরও আমেরিকান জিম্মির বাড়ি ফেরা উচিত। সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমি থামব না।’
বাইডেন সবশেষে যোগ করেন, ‘এই চুক্তিটি আমেরিকানদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনেক নিবেদিত কর্মকর্তার অক্লান্ত কূটনৈতিক তৎপরতা ও দৃঢ় সংকল্পের একটি প্রমাণ।’