গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ৪দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হলো।
বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কাতারের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির সময়ের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় হামাসের হাতে জিম্মি ১৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। একই সময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে একদল ফিলিস্তিনিকে।
এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে প্রতিবেশী দেশ মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং হয়ে গাজা ভূখণ্ডে অতিরিক্ত ত্রাণ সরবরাহ শুরু হবে।
গতকাল ইসরায়েল সফরে গেছেন ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাকে বলেন, ‘আশা করছি, বন্দিরা মুক্তি পাবেন। কিন্তু এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ। আগে প্রথম দলটি মুক্তি পাক। এক-এক করে সবাইকে ফিরিয়ে আনব আমরা।’
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। জিম্মিদের মুক্তিতে পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
চুক্তির শর্তানুসারে হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। যার বিপরীতে নিজেদের কারাগারে থাকা ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্ত দেবে ইসরায়েল। কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী রেড ক্রস জিম্মিদের পরিদর্শন করবে।
চুক্তির আওতায় গাজায় ত্রাণ সহায়তা, তেল, জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েল। এ সময়ে এসব কার্যক্রমে কোনো থরনের হস্তক্ষেপ করবে না।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, এটির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। প্রতি একদিন যুদ্ববিরতির জন্য ফিলিস্তিনকে ১০জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার সরকারি তথ্য বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলিদের হামলায় নিহত বেড়ে ১৪ হাজার ৮৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে গত একদিনেই ৩২২ জন নিহত হয়েছেন।