বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শক্তিশালী দেশগুলো এর দায় এড়াতে পারে না।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ ২৮)-এ বিশেষ হেলথ ডে উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জাহিদ মালেক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহোযোগিতা বাড়াতে হবে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আয়োজনে জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো এবং এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। তিনি সভায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জলবায়ুবান্ধব ভ্যাক্সিন প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ ও সহায়তার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
একই সঙ্গে তিনি অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপসহ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যসেবায় কী ধরনের ক্ষতি হয় এবং কীভাবে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায়, তা তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (৫ম সেক্টর প্ল্যান) নামে আরেকটি বৈঠকে অংশ নিয়ে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে স্মার্ট ও জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে আরও সহযোগিতা ও বিনিয়োগের আশ্বাস দেন।