আমেরিকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে আরও কয়েকটি উড়োজাহাজ কিনতে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা কম খরচে বোয়িং বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ কিছু বোয়িং কিনতে আগ্রহী। আমেরিকার প্রস্তাবে আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি ইউরোপ ভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করেছে বিমান। এয়ারবাসের সঙ্গে এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারকেও সই হয়েছে। এরপরই মূলত বাংলাদেশের কাছে আরও উড়োজাহাজ বিক্রি করতে তৎপরতা শুরু করে বোয়িং।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জন্য এর আগেও বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কিনেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিমানের বহরে যে ২১টি উড়োজাহাজ আছে, তার মধ্যে ১৬টিই বোয়িংয়ের তৈরি।
আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন নেই দাবি করে মোমেন বলেন, আমেরিকা বন্ধু বলেই আমাদের পরামর্শ দেয়। ভালো হলে গ্রহণ করি, অবাস্তব হলে তা আমলে নেওয়া সম্ভব হয় না। আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্ক এখনও অনেক ভালো। এ সম্পর্ক উন্নত করতে চায় ঢাকা–ওয়াশিংটন।
মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ আদর্শ দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনও কোনও উন্নত দেশের থেকেও বাংলাদেশের মানবাধিকার অবস্থা অনেক ভালো।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস চালাচ্ছে, প্রমাণিত- এমন ব্যক্তিদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প শুরুর আলোচনা হচ্ছিলো, তখন বিদেশি কেউ কেউ বাধা দেয়। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এখন রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় ধীরগতি চলে এসেছে।