২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে লড়তে পারবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য।
২০২১ সালে ক্যাপিটলে তার সমর্থকরা যে হামলা করেছিল, তাতে ট্রাম্পের উসকানির অভিযোগের জেরেই এই রায় দিল আদালত। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মার্কিন ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
কলোরাডো সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুসারে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ট্রাম্প। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলোরাডো সুপ্রিমকোর্টের সাত বিচারকের একটি বেঞ্চ ৪-৩ ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। অর্থাৎ তাকে অযোগ্য ঘোষণার পক্ষে আছেন ৪ জন বিচারক। বিপক্ষে আছেন ৩ জন। বিচারকরা এ সময় মার্কিন সংবিধানের ‘বিদ্রোহ’ সংক্রান্ত ধারাগুলোর আশ্রয় নেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দেশটির সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর ধারা-৩ প্রয়োগ করে তাকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হলো।
এর আগেও ট্রাম্পকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার আরজি জানিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের আদালতে আবেদন করা হয়েছিল।তবে এখন পর্যন্ত তাকে ওইসব রাজ্যে নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়নি। কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার যে আদেশ দিয়েছে তা এ রাজ্যের বাইরে প্রযোজ্য নয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে আগামী মাস পর্যন্ত।
কলোরাডো সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্পে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন শেউং এই রায়কে ‘সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বিচারকদের সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, যেসব বিচারক এই রায়ের সঙ্গে যুক্ত তারা সবাই ডেমোক্রেটিক গভর্নরদের আমলে নিযুক্ত।
এ সময় শেউং জানান, ট্রাম্পের আইনজীবীরা দ্রুতই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।