ঘরের মাঠে সিলেটে টেস্ট জয়, নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে জয়ের এবার এলো টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়। এক মাসের ব্যবধানে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাকলিন পার্কে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিউইদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এমন জয়ের পর অধিনায়ক শান্তর প্রতিক্রিয়া কি? নিশ্চয় বাঁধনহারা! ঠিক তাই। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই অনেক খুশি। অনেক বেশি গর্বিত এই জয়ে। দারুণ অনুভূতি.’
টস জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শেখ মেহেদী-শরিফুল ইসলামের বোলিং তোপে স্কোরবোর্ডে ৫০ জমা করতেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত তারা ১৩৪ রান করে থামে। জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন মূলত বোলারাই। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ২টি উইকেট করে নেন শেখ মেহেদী হাসান-মোস্তাফিজুর রহমান।
বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে শান্ত বলেন, ‘বোলিং পারফরম্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়েছে, তারা দ্রুত শিখেছে। নতুন বলে শরিফুল, সাকিব (তানজীম) খুব ভালো বোলিং করেছে। শেখ মেহেদির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ। এই কন্ডিশনে সে খুব ভালো বোলিং করেছে।’
তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে উইকেট হারালেও ব্যাটারদের দেখাচ্ছিলো সাবলীল। ছোট-ছোট জুটিতে এগোচ্ছিল জয়ের দিকে। তবে পরপর তাওহীদ হৃদয়-আফিফ হোসেনের আউটে কিছুটা চাপ বাড়ে। লিটন দাস-শেখ মেহেদীর ৪৫ রানের জুটিতে চাপ সামলে দাপুটে জয়ে মাঠ ছাড়ে লাল সবুজের দল।
‘শেষ দিকে কিছুটা চাপ ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য। আমার মতে, এই ধরনের দলের বিপক্ষে এমন কন্ডিশনে এটি সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। তবে তাদেরকে (১৩৪ রানে) আটকে ফেলার পর আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম এবং ছেলেরা তা করে দেখিয়েছে’ -বলেছেন শান্ত।
প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতার পর এবার সিরিজ জয়ের হাতছানি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাকি দুই ম্যাচ হবে ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর। শান্তদের ভাবনাতেও বাকি দুই ম্যাচে কিউই বধের পরিকল্পনা, ‘নেপিয়ারের আত্মবিশ্বাস মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে কাজে দেবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেরা এখন খুবই আত্মবিশ্বাসী। তবে আমাদের এখন পরের ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে এবং আশা করব সবাই নিজেদের কাজটা করবে।’