কাতার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সিদ্ধি হাসিলের জন্য হামাসের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনায় বাধা দিচ্ছেন। বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা বলেছে।
দোহার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বুধবার রাতে জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর কথিত ফাঁস হওয়া মন্তব্যে তার সরকার ‘শঙ্কিত’ হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে নেতানিয়াহুর রুদ্ধদ্বার বৈঠকের অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে। তাতে নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা গেছে, জিম্মি মুক্তির মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় কাতারের ভূমিকা ‘সমস্যামূলক’ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী কথিত আত্মীয়দের বলেছিলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে দোহাকে তার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাননি। কাতার চাইলে হামাসের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নেতানিয়াহু।
মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, ‘যদি প্রতিবেদনে উল্লেখিত মন্তব্যটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী কেবল মধ্যস্থতা প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন এবং দুর্বল করবেন। তিনি ইসরায়েলি জিম্মিসহ নিরপরাধ জীবন বাঁচাতে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরিবর্তে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে।’