সম্পর্ক ডেস্ক :-সৈয়দ ইকবাল যিনি একাধারে জনপ্রিয় লেখক,ইলাস্ট্রেটর ও খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী।সম্পর্ক পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শিল্পী সৈয়দ ইকবালকে বলা যেতে পারে দুই ভূবনের বাসিন্দা।তিনি ঢাকা এবং টরন্টো দুই জাগায় কাজ করেই সমাদৃত। তার ১৭টি একক ছবির প্রদর্শনী প্রায় সবই হয়েছে ঢাকা মন্ট্রিয়ল ও টরন্টোতে। ২০১৫ সালে টরন্টোর অভিজাত ও মনোরম সিডার রীজড গ্যালারীতে তার ১৭তম প্রদর্শনী বেশ জমজমাট ভাবে হয়।গ্রেটার টরন্টোর মিসিসাগা, ব্রেমটন, ভন এবং ওকভীলের আর্ট কালেক্টারগণ ও তার ছবি সংগ্রহ করেন। ২০০৯ সালে একই গ্যালারীতে তার ১২তম একক ছবির প্রদর্শনীর নাম ছিলো ‘নো পেইন নো গেইন’ টরন্টো মিডিয়া বেশ গুরত্ব দিয়ে ছিলো।
২০০৩ সালে গোটা কানাডার জাতীয় পর্যায় বার্ষিক আর্ট কম্পিটিশন ‘ইমাগো’ তে ৮০০ শত আর্টিস্টের মধ্যে ১০ প্রভিন্স থেকে ১০ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে ইকবাল হয়েছিলেন ওন্টারিও থেকে। একই বছর টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড দেয় সেন্ট জর্জ ক্যামপাসের পারমেনেন্ট গ্যালারীতে ১০ দিনের প্রদর্শনীর এবং ‘টিয়ার্স অব নেচার’ সিরিজের ২টি ছবি কিনে স্থায়ী গ্যালারীতে সংগ্রহ করে। অটোয়া জাতীয় পার্লামেন্টে এম পি রব ওলিফ্যান্টের কক্ষেও তার ‘মাইন্ডস্কেপ’ সিরিজের ছবি সংগ্রহিত রয়েছে। প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কবি আসাদ চৌধুরী টরন্টোতে বলে ছিলেন – এখানে ইকবাল কে সবাই শিল্পী হিসেবেই জানে আমার কাছে সে শিল্পীর চেয়ে লেখকও কম নয়। তার কিশোর উপন্যাস ‘ কুশল আর মৃত্যুবুড়ো’ আমাকে তিন দশক ধরে মুগ্ধ করে রেখেছে।
সৈয়দ ইকবাল গল্পকার উপন্যাসিক হিসেবে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরষ্কার। শিশু কিশোর সাহিত্যের জন্যে অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমী পুরষ্কার,এছাড়া জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র তাকে ২ বার শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দিয়েছে হাজারের উপরে বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করার জন্যে। এখনো প্রতি বছর ঢাকার একুশে বইমেলায় নিজের বইয়ের সঙ্গে অসংখ্য অন্যদের বইয়ের প্রচছদ করেন।