সম্পর্ক ডেস্ক:- দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে একদল জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।কারাবিধি অনুযায়ী শুক্রবার তার পরিবারের ৫ জন সদস্য শেষ সাক্ষাৎ করেন।
ফাঁসি কার্যকরের পর তার মরদেহ ৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিচের দরজা থেকে বের করে আনা হয়। সিভিল সার্জন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, ফাঁসির আগে ইমামের কাছে তওবা পড়ার সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করলেও ফাঁসি কার্যকরের সময় নিশ্চুপ ছিলেন মাজেদ।মাজেদকে দাফন করা হবে তার জন্মস্থান ভোলায়।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সূত্র:জাগো নিউজ