নাজিমুদ্দীন শ্যামল, ঢাকা
কতো বছর পর পিতৃগ্রামে গেলাম
বিকাল বেলায়। পড়ন্ত রোদে আমাদের
পুরোনো বেড়ার ঘরটি কী যে মায়ায়
বেঁধেছিলো আমার পিতাকে তার আমি
আর কতটুকুই বা জানি। ভাদ্রের এক
সকালে জন্মেছিল পিতামই, আমার পিতা
তারপর আমিও।
আশ্চর্য, ঘরটির চিহ্নও আর অবশিষ্ট নেই,
নেই সেই আঁতুড় কিংবা গোয়াল।
আমাদের লাল আর সাদা গরুগুলো
চরাতে নিয়ে গেছে দিল আহাম্মদ।
সেও ফিরেনি এখনো।
লাঙল গুলোও আর পড়ে নেই
গোয়াল ঘেঁষে। বাঁশ ডুয়াটিও প্রায়
নিঃশেষ। কেবল পড়ে আছে নাম
জন্মগ্রাম। কতো বছর পর
সেখানে আমি ফিরে আসলাম
আমার পিতৃগ্রাম, আমার জন্মগ্রাম।