সর্ম্পক ডেস্ক: একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও একজন জ্যেষ্ঠ নার্সসহ পাবনায় আরো নতুন ৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে পাবনা সদরের ৩ জন, ভাঙ্গুড়া উপজেলার ২ জন ও চাটমোহরের একজন।
জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল গত মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে চাটমোহরে আরও দুজন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৮।
পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল হোসেন জানান, ২১ এপ্রিল এক অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছিলেন। একদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে তিনি ঢাকায় চলে যান। সেখানে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হয়। বিষয়টি জানার পর ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসক (২৫) ও জ্যেষ্ঠ নার্সের (৩৫) নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, দুজনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আর ওই চিকিৎসক ও নার্সের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী (৪৫)। তিনি করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাঁর শরীরে তেমন কোনো লক্ষণ নেই। তাঁকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলায় আক্রান্ত দুজন স্বামী-স্ত্রী। তাদের বাড়ি উপজেলার মুন্ডুতোষ ইউনিয়নের একটি গ্রামে। দুইজনই গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার কর্মী। কারখানা বন্ধ থাকায় ১৭ এপ্রিল বাড়িতে আসেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক হালিমা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুর থেকে ফেরার পরপরই ওই দুজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে ২৩ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
পাবনায় প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয় ১৬ এপ্রিল। তাঁর বাড়ি চাটমোহরে মুলগ্রাম ইউনিয়নের একটি গ্রামে। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ ফেরত পোশাক কারখানার কর্মী। পরে তাঁকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। ১৯ এপ্রিল একই উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের জেলার দ্বিতীয় করোনা রোগী (৪০) শনাক্ত হয়। তিনিও নারায়ণগঞ্জ ফেরত পোশাক কারখানার কর্মী।