এবিএম সালেহ উদ্দীন
জানি
এই নীরবতা আর ভালো লাগেনা
নিস্তব্ধ আস্তানায় কতকাল পড়ে থাকা যায় ?
যেখানে
বন্দী পাখির মতো অহর্নিশ বয়ে যায় সময়
স্পর্শহীন নির্জনতার কাছে হেরে যায় বিবেকবোধ
মাঝে মাঝে জানালায়
ভেসে আসে বিষাদ কান্না
আঁধার বাহিকায় চারিদিকে আতঙ্ক হাহাকার
চোখ দু’টো ঘুরপাক খায় সময়ের কৃষ্ণ বিহারে।
নিকষ আঁধারের ফোটা ফোটা বৃষ্টি
মনে করিয়ে দেয়
এই জাগ্রত শহরে আরো কিছু মানুষ ছিল
ওরা চলে গেছে ছায়াহীন দৃষ্টির আড়ালে
কত স্বজনের অশ্রুত কান্না আর লুকানো হাহাকার
কত স্বপ্ন,কত উচ্ছ্বাস,কত স্মৃতি
দগ্ধ হয়েছে হৃদয়ের তাপে
কম্পিত ধরণীর বিদীর্ণ আর্তস্বর
লুটোপুটি খেয়েছে শূন্যতার বিষাদে।
তখনই
স্বচ্ছ কাঁচের জানালায় রাজহাঁসের ভেটকি হাঁক –
‘তোমরা মরিয়া যাও,-চাঙ্গা হোক অর্থনীতি’।
তমসার মধ্যরাতে ইঁদুরের ছুটোছুটি দেখে
কেউ কেউ চিৎকার করে বলে দূর হ’দূর হয়ে যা
ঘরবন্দী মানুষের এইসব দিনরাতে
নিষ্পলক চোখে বয়ে যায় দাহনের কাতরতা
দিগন্ত জুড়ে উদ্বাস্তুর কান্না আর শোকার্ত পৃথিবী।
বিদগ্ধ যন্ত্রণায় কৃষ্ণরাতের হতশ্বাসে
রোহিঙ্গার ক্ষুধাতুর শিশুর মতো
আশ্চর্য একাকীত্বে
ব্যাকুল হয়ে খুঁজি অসীম তারকালোক…