জাহানারা বুলা
সব ছুঁয়ে ছুঁয়ে প্রেমের টক্সিনটুকুর প্রস্রবণ করে দিয়ে গেলে?
ওই বিষের কালিতেই যে কবিতা লিখি আমি!
আর একটু বিষ জমে গেলে হয়তো এক মহাকাব্য লিখে দিতে পারতাম তোমার নামে!
হৃদয়টা ছুঁয়ে থাকতে পারলে না “প্রেমিক”!
ঐ গভীর অন্ধকারে ডুব দিতে হাঁসফাঁস উঠে যায় তোমার বুকে?
অথচ, কুমারী’র পর্দা ছিঁড়ে তুমি পৌঁছে যাও অতলান্ত কালোয়
পর্যটক হয়ে আনন্দ ভ্রমনে!
তাহলে কি করে ভেবে নিই আঁধারে তোমার ভয়?
এখন যে আমার প্রেমেই বাজিয়ে দিলে ভয়তাল!
তুমি প্রকৃত অর্থে কাঠামো নিয়ে খেলতে পছন্দ কর,
অন্দর মহলে যে রত্নখানি “ভালোবাসি”,
আমাকে বাঁচাও” –
বলে ফেনা তোলে মুখে, তাতে তোমার কিইবা এসে যায়?
ব্ল্যাক, ব্রাউন, হোয়াইট আস্তরণ চাই তোমার!
হ্যা, আমি শরীরের কথাই তো বলছি এতক্ষণ যাবৎ!
শরীর চাই তোমার?
শরীর যে হৃদয়ের আস্তরণ!
দেহখানি এমন ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়ে ফেলো যদি,
হৃদয় কি করে নিরাপদে থাকতে পারে আর?
হৃদয় যে একটি সচল অনুভূতির নাম –
সে হাঁটতে পারে, উড়তে পারে, সাঁতরাতেও পারে,
যেতে পারে নিরাপদ আসতানায়!
তুমি এখনও জীবন্মৃতের মাংস খেয়ে কর আনন্দোৎসব!
আর, যে হৃদয় গেলো, তার আজ মুক্তির উৎসব!
তোমার নামকরণে তুমি ভুল করে ফেলেছিলে বলে
আজ তোমার হয়ে আমিই সেজদায় পড়ে রই ঈশ্বরের ঘরে —
তোমার “প্রেমিক” নামটি’র পুনরুত্থানের প্রয়াস যে আমার!