সম্পর্ক ডেস্ক: করোনাভাইরাসে অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ শুরু করেছে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।
প্রাথমিকভাবে মুমূর্ষু দুইজন পুলিশ সদস্যের ওপর এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে একজন রোগীর শরীরে বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন চিকিৎসকরা।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনোয়ার হাসানাত খান সাংবাদিকদের বলেন, গত দুইদিন আগে দুইজন করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। এরমধ্যে একজন করোনা ছাড়াও কার্ডিয়াক ও পেডিয়াট্রিক সমস্যার কারণে খুবই ক্রিটিক্যাল স্টেজে ছিলেন। প্লাজমা থেরাপিতে তার অবস্থার প্রথমে কিছুটা উন্নতি হলেও পরে তার অবস্থা আগের মতো হয়ে য়ায়। তবে অন্য এক রোগীর ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সফলতা পাচ্ছি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্লাজমা থেরাপি দেওয়া আইসিইউর দুই রোগীর মধ্যে একজনের বিস্ময়কর উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। এই থেরাপির কারণে একদিনেই তার ভেন্টিলেশন ছাড়া অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এ সফলতায় অন্য মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ সফলতার ধারাবাহিকতায় শিগগিরই পুলিশ হাসপাতালে প্লাজমা সংগ্রহ শুরুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজনের অবস্থার উন্নতির মাধ্যমে সার্বিকভাবে সফলতার বিষয়টি বলা যাবে না। তবে আমরা আরো রোগীর ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে এই সফলতাকে কাজে লাগাতে চাই।
প্রসঙ্গত, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাদের প্রত্যেকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। করোনাজয়ী ব্যক্তির দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে গুরুতর অসুস্থ্য ব্যক্তি সুস্থ্য হয়ে ওঠেন। করোনাজয়ী ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে অসুস্থ্য ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগকেই প্লাজমা থেরাপি বলা হয়।