হোসনে আরা জেমী,টরন্টো,কানাডা।
মানুষের মন আর আকাশের রঙ এরা নাকি বদলাই নিজের ইচ্ছে মত। এটা একটি প্রবাদ। তেমনি আজ নোবেল করোনা – 19 যেভাবে বদল করছে তার রূপ ও রঙ। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা হিমশিম খাচ্ছেন প্রকৃত প্রতিষেধক তৈরি করতে। যেখানে গোটা বিশ্ব চলছে মৃত্যুর মিছিল সেখানে কিভাবে ঈদ আনন্দ ঠাই পাবে!২০২০ সালে ঈদুল ফিতরের আমরা যে বেঁচে আছি এটাই আমাদের ঈদ আনন্দ। কানাডা এমনিতেই শান্ত শহর পথঘাট যেন আরও শান্ত।আমার কোন এক বন্ধু আমার ছবি দেখে বলেছিল তুমি তো ভূতের শহরে বাস করো। আমার কাছে এখন তাই মনে হচ্ছে আমি যেন সত্যি সত্যি এক ভূতের শহরে বসবাস করছি।
আমাদের এখানে করোনা এর কারণে বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই মারা গেছেন তবে এটা আমেরিকার নিউইয়র্ক এর তুলনায় অনেক কম। রমজান মাসের শুরুতে মনে হয়েছে ঠিকমতো রোজা করতে পারব তো? কিন্তু দেখতে দেখতে শেষ করে ফেললাম গোটা রমজান মাস।রমজান মাস বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং সেই সাথে সকল বড় বড় দোকানগুলো খোলা থাকার দরুন খুব ভালোভাবে রোজা শেষ করলাম।
আজ ঈদ। এ এক অন্যরকম ঈদ হবে গোটা মুসলিম বিশ্বে। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব, ঈদ মানে আয়োজন। কোন কিছুই থেমে থাকবে না চলবে আপন নিয়মে।এ বছরে আমরা ঈদ উদযাপন করব একটু অন্যভাবে আমার দেখা ঈদ থেকে একদম আলাদা।
বিশ্বের সকল মুসলমানরা ঈদ করবে বিবর্ণ এক ঈদ। যা কোনদিন আমরা আশা করিনি। গোটা বিশ্ব আজ হেঁটে চলেছে এক অদ্ভুত আঁধার এর মধ্যে দিয়ে। কয়েকদিন আগেও আমি টিভিতে চোখ দিয়ে বসে থাকতাম কতজন চলে গেল আমাদের ছেড়ে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। এখন দেখছি কোন দেশের বিজ্ঞানীরা কি বলছে? কত দিনের মধ্যে প্রতিষেধক আসবে সেই সাথে দেখছি মৃত্যুর মিছিল কত বড় হচ্ছে।
তাই আমরা এই ভিন্ন ঈদকে রঙ্গিন করবো। ঘরে বসেই সবাই একসাথে হব ভার্চুয়াল জগতের মধ্যেমে। দূর থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে মা,বোন, ভাই,বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করব। ঈদে আমরা ঘরে থাকব প্রয়োজন ছাড়া বের হব না। বেঁচে থাকলে হয়তো অনেক ঈদ আসবে আমাদের জীবনে এই আমাদের প্রত্যাশা।