(কবি সহস্র সুমনের নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা পূর্বক)
শরীফ হাসান,অটোয়া, কানাডা।
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে তুমি স্বার্থপরের মতই বাঁচবে
এ যাত্রায় রেহাই পেলে তুমি নিজের কথাই ভাববে
আগের মতই তোমার বিষে কিশোর বানর নীল হবে
রাত্রিবেলা ঝড়ে পড়া শামুকখোলা তোমার পাতে যাবে
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে তুমি আরও বড় চোরটা হবে
বেগমপাড়ায় বাড়ি, হাল মডেলের গাড়ি হবে
অহংকারী আমলা হবে, তুমি ধুরন্ধর সদাগর হবে
বালিশ-পর্দা-নারকেল গাছ, সেই সে হরিলুট হবে
আগের মতই নদী বন পাহাড় সাগর গিলে খাবে
তুমি আগের মতই নষ্ট প্রাণের পূজারি, ভ্রষ্ট নাবিক হবে
বদ্ধ পানি নর্দমার কীট হবে, জড়বুদ্ধির মোল্লা হবে
আগুন দেবে বাউলের মন্দিরা আর সংখ্যালঘুর মন্দিরে
নির্মম সন্ধ্যায় ভাওয়ালের বনে মাকে বিসর্জন দেবে
তুমি উদাসীন রাষ্ট্র হবে, কাল কেউটে কেরানি হবে
ফাঁক খুঁজে বাক-স্বাধীনতায় নতুন কোন ফাঁস পরাবে
এ যাত্রায় বেঁচে যদি যাও, তুমি ভীষণ ভক্ষকই রবে
চাল তেল ত্রাণ ফিতরা যাকাত সব চেটেপুটে খাবে
গোলাপি শুশুক লাল হবে, কেজি দরের মাংস হবে
বস্তাবন্দী হবে বৃদ্ধ বাবা, মিষ্টি শ্যামা কারেন্ট জালে ছটফটাবে
পাশের বাড়ির ছোট্ট মেয়ে একলা পেয়ে তুমি দাঁত আর নখ বসাবে।
তার চে’ বরং চলে যাও, তুমি একাকী চিতায় ভস্ম হও
বৃষ্টি বানের জলে ভাস, বাষ্প হয়ে বাতাসে মেলাও
হারাও দূরে বহুদূরে আকাশ বাতাস মহাকাশ ছাড়িয়ে
অন্য কোন ছায়াপথে, ধুঁকতে থাকো কোন দুষ্টগ্রহ হয়ে।