হাসপাতাল মর্গে জায়গা না হওয়ায় গলে যাচ্ছিল এসব মরদেহ। এসি রুমে রাখা হয়েছিল লিবিয়ায় মানব পাচারকারী ও মিলিশিয়াদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশিদের লাশগুলো।
বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। আবার মিলিশিয়াদের চাপ ছিল লাশগুলো যাতে ওই শহরের বাইরে নিয়ে না যাওয়া হয়। ফলে বাধ্য হয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন মরদেহগুলো ওই শহরেই দাফন করে ফেলে। শুক্রবারেই (২৯ মে) ২৬ বাংলাদেশির লাশ লিবিয়ার মিজদাহ শহরের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সূত্র জানায়, লিবিয়ার যে শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়, সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত মিজদাহ শহরে ভালো কোনো হাসপাতাল নেই। আহত ১১ জনকে স্থানীয়দের সহায়তায় অন্য শহরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ দূতাবাস। কিন্তু লাশগুলো পড়ে থাকে সেখানে।
হাসপাতালের মর্গে মাত্র চারটি লাশ রাখার জায়গা ছিল। ফলে ২৬টি লাশ রাখার কোনো ব্যবস্থায়ই সেখানে ছিল না। ফলে বাধ্য হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের একটি এসি রুমে ২৬টি লাশ রেখে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সেখানে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এদিকে লাশগুলো পচে-গলে যেতে থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন মরদেহগুলো ওই শহরেই দাফন করে ফেলে।