সম্পর্ক ডেস্ক:যত দ্রুত সম্ভব পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে শিশু অধিদপ্তরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করা ও পথশিশু কার্যক্রম পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ, সমন্বয়ের জন্য আলাদা ডেস্ক স্থাপন করার দাবী জানিয়েছে পথশিশুদের নিয়ে কর্মরত ব্যক্তিও সংগঠনসমূহের নেটওয়ার্ক-স্ট্রীট চিলড্রেন এক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক (স্ক্যান)।১৫ জুন ২০২০ সোমবার নেটওয়ার্কটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মুকুল স্বাক্ষরিত বাজেট পরবর্তী একপ্রেসনোটে এ দাবী জানান।
তারা জানান, পথশিশুদের সংখ্যা নিরুপনে জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ ও জরিপের তথ্যের আলোকে কর্মসূচি গ্রহণ করা দরকার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়েরঅধীন পরিচালিত পথশিশুদের পুনর্বাসন কার্যক্রমের কর্ম-এলাকা বৃদ্ধি করেসুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ পথশিশুদের বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধনের ব্যবস্থানিশ্চিত করার দাবীও জানান প্রেসনোটে।
তারা আরো জানান, পথশিশু পুনর্বাসনে একটি কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা ওসরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সমন্বয়ে একটি কৌশলগত কমিটি করেপ্রয়োজনে পথশিশুদেরকে যুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।উল্লেখ্য, মোট ৭২টি এনজিও, সিবিও, স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবীরসমন্বয়ে সারা বাংলাদেশে কাজ করে আসছে স্ক্যান। ২০১৪ সাল থেকেপথশিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে ও প্রায় ৪০% শিশুর জন্য একটি আলাদা অধিদপ্তরপ্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে আসছে নেটওয়ার্কটি।
জাতীয় বাজেট ২০২০-২০২১ ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল শিশু অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠারপরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেছে। এছাড়া শিশু-কল্যাণ নিশ্চিত করতেসকল জেলায় শিশু কমপ্লেক্স নির্মাণ ও সকল উপজেলায় শিশু দিবাযত কেন্দ্রস্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্ক্যান বাংলাদেশের দাবীর সাথেএকাত্মতা ঘোষণা করে ২০১৪ সাল থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, সাবেকমহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, ডেপুটি স্পিকারএডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, এম পি, শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস।
সভাপতি শামসুল হক টুকু, এম পি এবং শিশু অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশে কর্মরত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহকে।