খোন্দকার মাহাবুবুল হক : ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ প্রকল্পে অগ্রগতির আরো একধাপ এগিয়েছে। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়্যাক্টর বিল্ডিংয়ে সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে ‘সাপোর্ট ট্রাস’। যা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্প্রতি কাজটি শুরু ও সমাপ্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সাপোর্ট ট্রাস একটি ধাতব কাঠামো যার অনেকগুলো রেডিয়াল (ব্যাসার্ধীয়) বিম রয়েছে। এটি রিয়্যাক্টর পিট যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাজ হলো রিয়্যাক্টর ভেসেলকে ভূমিকম্পসহ যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দৃঢ়ভাবে ধরে রাখা। এটি এমনভাবে তৈরি যাতে রিয়্যাক্টরের পুরো কার্যকাল, অর্থাৎ ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে উচ্চতাপ ও রেডিয়েশন সহ্য করার ক্ষমতা রাখে।
পরবর্তী ধাপে রিয়্যাক্টর পিটে কংক্রিট ঢালাইয়ের পর ‘থ্রাস্ট ট্রাস’ স্থাপন করা হবে।
এটমসট্রয়এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই লাসটচকিনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, “সাপোর্ট ট্রাসের স্থাপন ২০২০ সালের জন্য নির্ধারিত মাইলফলকগুলোর একটি। নির্ধারিত সময়ের ১৬দিন পূর্বেই এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মান কাজ সিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে।”
আরো জানানো হয় ” স্বাস্থ্য ও মহামারি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে প্রকল্পের কাজ পরিচালিত হচ্ছে। সাইটে প্রবেশের প্রতিটি প্রবেশদ্বার ছাড়াও অফিস বিল্ডিং ও ক্যান্টিনে প্রবেশকালেও দূর থেকে প্রতিটি লোকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সকল কক্ষ ও যানবাহনগুলোতে পরিচালিত হচ্ছে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুনাশক কার্যক্রম। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া হয়েছে মাস্ক, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার। এছাড়াও চিকিৎসকরা সরাসরি নির্মান এলাকায় কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।”
রূশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ এটমসট্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) জেনারেল কনট্রাকটর হিসেবে রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ইউনিট থাকবে। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের অত্যাধুনিক রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর।