এবিএম সালেহ উদ্দীন
যখন
চাঁদের করতলে জ্যোৎস্নার ছড়াছড়ি
বিষণ্ণতার আঁধার চিড়ে
কেটে যায় রাত্রির মগ্নতা ।
শিশিরভেজা প্রিঁয়ঙ্গু ফুলের মতো
আসে স্নিগ্ধতা ।
হেমন্তের নিপুন বাতাসে নেমে আসে শুভ্রতা
যখন
বিন্দু বিন্দু অশ্রুকণার ভিড় জমে শিশিরে
এমনই এক শান্তসকালে মহাপ্রস্থান ।
শান্ত পাখীর ডানায় উড়ে বিদায় পতাকা
হৃদয়ে জমে থাকা তরঙ্গ বিষাদ
দু:সহ বেদনায় কেঁদে ওঠে মন
কীভাবে শোয়ানো হয়েছিল
আমার বাবাকে
চারিদিকে মাটির দেয়াল ।
সদ্য ঝরা পংক্তিমালায়
উচ্চারিত হয় কালেমা তাইয়্যেবা
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ..
যে দিক ফিরে শুয়েছিলেন তিনি
তের হাজার মাইল দূর থেকে
দেখেছিলাম তাঁর মুখে বিদায়ের হাসি ।
স্নিগ্ধ হাওয়ায় নড়ছে…ঠোঁট
ভোরের পাখিরা উড়ছে
প্রজাপতিও আছে সাথে
ঝির ঝির বাতাসে বাজে আজানের বিমোহন সুর
হৃদয়ের আকুতিঝরা ব্যাকুলতায়
আমিও পড়লাম- মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ ।
সর্বদিকে বহমান,আল্লাহ মেহেরবান…
তারই ছায়াতলে শায়িত আছেন
আমার বাবা
পন্ডিত লুৎফর রহমান ।।