বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের এখন পর্যন্ত ১৩ জন ফুটবলারের করোনাভাইরাস পরীক্ষার মধ্যে ৪ জনের ফলই এসেছে পজিটিভ। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের জন্য অনুশীলন শুরুর আগে বেশ বড়সড় ধাক্কা খেল।
বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের জন্য ৩৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বাফুফে। যারা গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে আবাসিক ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। ক্যাম্পে আসার আগে সবাইকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা টেস্ট করতে বলা হয়েছিল। সেখানে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের করোনা ধরা পড়েছিল। এই ডিফেন্ডার সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাসায় চিকিৎসা নেওয়ায় ক্যাম্পে প্রথমদিন যোগ দেননি তিনি।
প্রথম দিন অনুশীলনরে জন্য ক্যাম্পে আসেন ১২ ফুটবলার। যাদের বাফুফের পক্ষ থেকে করোনা টেস্ট করা হয়। আর প্রথমদিনের করোনা টেস্ট শেষে ১২ জনের মধ্যে ৩ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তারা হলেন, পুলিশ এফসির এমএস বাবলু ও নাজমুল ইসলাম রাসেল এবং উত্তরা বারিধারার সুমন রেজা।
এদিকে ১২ জন খেলোয়াড় বাদেও কোচ ও স্টাফসহ আরও ৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে প্রথমদিনে। তাদের করোনা ফল নেগেটিভ এসেছে। ফলে করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু ও সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার বাকি ৯ ফুটবলারকে নিয়ে আবাসিক ক্যাম্পে অবস্থান নিবেন।
এদিকে প্রথমদিনের ফলের পরই শঙ্কায় পড়ে গেছেন জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। তিনি মনে করছেন সংখ্যাটা সামনে বাড়তেও পারে। তিনি বলেন, ‘শুরুটা তো একেবারেই ভালো হলো না। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার এমনিতেই বেশি, এমন কিছু হতেই পারত। আমার আশঙ্কা হলো কাল হয়ত এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’