লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়তে চাচ্ছেন। অন্যদিকে বার্সেলোনা তাকেই এখনই ছাড়তে চাচ্ছে না। মেসি আর বার্সেলোনার মধ্যে চলছে টানাটানি। তারা চাচ্ছে চুক্তি অনুযায়ী যে আরো একটি বছর রয়েছে সেটা সম্পন্ন করে যাক আর্জেন্টাইন তারকা।
অন্যদিকে মেসি তার সিদ্ধান্তে অটল আছেন। তিনি বার্সায় থাকবেন না। তাইতো রোববার তিনি করোনার পিসিআর টেস্ট করাননি। সোমবার অংশ নেননি দলের নতুন মৌসুমের প্রথম অনুশীলনেও।
লিওনেল মেসি ঠিক কী কী কারণে কাতালান ক্লাবটি ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন? স্প্যানিশ ক্রীড়া পত্রিকা মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট দশটি কারণ রয়েছে এর পেছনে। আসুন সেগুলো জানার চেষ্টা করি।
১. তার ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছার বিষয়টি বার্সেলোনাকে জানানোর যে সবশেষ তারিখ ছিল সেটি বর্ধিত করা হয়। এটা করা হয়েছে মূলত করোনার কারণে মৌসুম পিছিয়ে যাওয়ায়। আগে ছিল ১০ জুন। আর সেটা এখন আর বৈধ নয়।
২. লিওনেল মেসির চুক্তির শেষ বছরে তার রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো নেই! অর্থাৎ শেষ বছরে মেসি চাইলেই ক্লাব ছাড়তে পারবেন সেই পথ বার্সা খোলা রেখেছে?
৩. জোসেফ মারিও বার্তেমেউ একাধিকবার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে মেসি চাইলে যেকোনো সময় ক্লাব ছাড়তে পারে।
৪. বার্সেলোনার প্রজেক্টকে মেসির কাছে উচ্চাকাঙ্খী মনে হয়নি। আগে দলের মধ্যে জয়ের যে ক্ষুধা ছিল সেটা এখন আর দেখছেন না।
৫. মাঝ পথে আর্নেস্তো ভালভার্দেকে যেভাবে বার্সেলোনা বরখাস্ত করেছে সেটি ভালো লাগেনি মেসির কাছে।
৬. বোর্ডের সঙ্গে মেসির দ্বিমতের সংখ্যা বাড়ছে। বোর্ডের অনেক সিদ্ধান্তের সঙ্গেই মেসি একমত হতে পারছেন না। বিশেষ করে সোস্যাল মিডিয়া স্ক্যান্ডালের বিষয়ে।
৭. ক্লাবের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে মেসির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে এরিক আবিদালের সঙ্গে। আবিদাল ভালভার্দের বরখাস্তের জন্য কয়েকজন খেলোয়াড়কে দায়ী করছেন।
৮. মেসির মনে হচ্ছে না যে ক্লাব তার কথা শুনছে। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি মতামত দিলেও সেগুলো আমলে নেয়নি ক্লাব। বিশেষ করে একাডেমি ও ক্লাবের কিছু ব্যাপারে।
৯. মেসি মনে করছেন বার্সেলোনা যুগের শেষ এখানেই। তিনি জেরার্ড পিকের মতো কয়েজন সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে একমত যে বুড়োদের সরে দাঁড়ানো উচিত। তরুণদের সুযোগ করে দেওয়া উচিত যারা বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি হবে।
১০. বার্সেলোনার সোস্যাল মিডিয়া স্ক্যান্ডালে মেসি ও তার পরিবারকে টার্গেট করা হয়েছিল। এই ঘটনায় যারপরনাই মনোক্ষুন্ন হয়েছেন তিনি।