দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। সেই হামলায় তার বাবাও গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার সরকারি ডাক বাংলোতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শিবলী সাদিক, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই পুলিশ পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে ঠিক কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তার কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
জানা গেছে, হামলার সময় ডাক বাংলোতে ইউএনও এবং তার বাবা অমর আলী অবস্থান করছিলেন। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি নিয়ে প্রবেশ করে ইউএনওর ওপর হামলা করে। ইউএনওর চিৎকারে সরকারি কর্মচারী ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ইউএনও’র বাবাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে ওয়াহিদা খানমের মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেওয়া হয় বলে জানান ওসি আমিরুল ইসলাম।