বেসরকারি একটি টেলিভিশনের লাইভ শো’র সংলাপে বিএনপির দলীয় এমপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে ‘থুতু ছিটানো’ ও তাঁর সংগে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা- জনতার উদ্যোগে বৃৃহ:স্পতিবার সকালে ঈশ্বরদী শহরের স্টেশন সড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা থেকে হাবিবুর রহমান হাবিবকে ঈশ্বরদীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা, নুরুজ্জামান বিশ্বাসের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা চাওয়া ও হাবিবকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার পাবনা- (ঈশ্বরদী- আটঘরিয়া) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপ-নির্বাচনে দিন রাত সাড়ে আটটায় বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টকশো অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্টে’ দুইজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংলাপের সময় বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এমপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান নুরুজ্জামান বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে প্রতীকী থুতু ছিটান। জনতার ভোটে নির্বাচিত নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ওই রাতে টেলিভিশনে সংলাপের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংগে এই ধরনের আচরণ ও থুতু ছেটানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঈশ্বরদীতে আ’লীগের নেতাকর্মী ও সমমনাদের মধ্য প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরই অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে দশটায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা উদ্যোগে এই প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ রশিদুল্লাহ, সাধারন সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক মালিথা, সাবেক এমপি পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মুরাদ মালিথা, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান শিক্ষক সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস আওয়ামী লাগ নেতা মীর জহুরুল হক পুনো প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন শেষে হাবিবুর রহমান হাবিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।