দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাল আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি মঙ্গলবার এ আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির দৈনিক কেইহান-কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ইরান যেমনি ইসরাইলের দ্বারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের বিরোধী তেমনি আর্মেনিয়ার দ্বারা আজারবাইজানের ভূখন্ড দখলের বিরোধী।
তিনি বলেন, ইরান সব দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বিশ্বাস করে। এটা জাতিসংঘ সনদের নীতিমালার অংশও। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে এ নীতি মেনে চলে তেহরান। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া উভয়ই ইরানের প্রতিবেশী। আর্মেনিয়া প্রতিবেশী আজারবাইজানের দক্ষিণের অন্তত ৭টি শহর দখল করে রেখেছে। জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত চারটি ইশতেহার রয়েছে। সব ইশতেহারেই বলা হয়েছে, আজারবাইজানের একটা অংশ দখলে রেখেছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়াকে দখল ছেড়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্তে ফিরে যেতে বলা হয়েছে এ সব ইশতেহারে।
বেলায়েতি বলেন, ইরান চায় আজারবাইজানের ভূখণ্ড সেদেশকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। এ সব অঞ্চল দখল করায় দেশটির ১০ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। দ্রুত এসব এলাকা ছেড়ে দিতে বলছি আমরা।
তিনি বলেন, ইরান মনে করে- এ সমস্যার সামরিক সমাধান নেই। রাজনৈতিক পথে এগোতে হবে। আলোচনায় বসতে হবে। কারণ যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। চলমান যুদ্ধ গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যও ক্ষতিকর।