ভারতের জি-বাংলা টেলিভিশনের দর্শকপ্রিয় কমেডি রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্স’। আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে এই অনুষ্ঠানের নতুন আরো একটি সিজন। বাংলাদেশের অনেক প্রতিযোগী এই রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন। স্বাভাবিক কারণে আমাদের দেশের দর্শকের মধ্যে অনুষ্ঠানটি নিয়ে বাড়তি আগ্রহ রয়েছে।
দীর্ঘ চার বছরের বিরতি ভেঙে মীরাক্কেল ফিরলেও খুশি হতে পারছেন না এই অনুষ্ঠানের ভক্তরা। কারণ ‘মীরাক্কেল’ মানে উপস্থাপনায় মীর আফসার আলী আর বিচারকের আসনে শ্রীলেখা মিত্র, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রজতাভ দত্ত। কিন্তু এবার সেই ধারাবাহিক ছন্দে পতন ঘটেছে।
উপস্থাপনায় মীর থাকলেও বিচারকের আসনে থাকছেন নতুন মুখ। এবার বিচারকের আসনে দেখা যাবে—টলিউডের দুই চিত্রনায়িকা পাওলি দাম ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও থাকছেন কমেডিয়ান বিশ্বনাথ বসু ও কাঞ্চন মল্লিক। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক।
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রজতাভ দত্ত বিষয়টি নিয়ে কিছু না বললেও এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র।
শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, মীরাক্কেল থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি চ্যানেলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। এছাড়া তার অভিযোগ, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর স্বজনপ্রীতি নিয়ে মন্তব্য করার কারণে এই অনুষ্ঠান থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে, ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে স্বজনপ্রীতি কীভাবে চলছে। আমার ইউটিউব চ্যানেলে ওই বিস্ফোরক তথ্যগুলো তুলে ধরে আমি ঠিক কাজই করেছিলাম। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয় বরং অন্যরকম হলেই আমি অবাক হতাম।
তবে ‘মীরাক্কেল’ নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনুষ্ঠানটি ঘিরে ছোট ছোট কিছু বিতর্ক হয়েছে। দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও অনেকেই অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানে যেসব কৌতুক বলা হয় তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অশ্লীলতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তা পরিবারের লোকজন নিয়ে দেখা বিব্রতকর! দিন দিন ‘অ্যাডাল্ট জোকস’ বলার এই প্রবণতা আরো বাড়ছে।
গত ১ অক্টোবর থেকে নতুন সিজনের শুটিং শুরু হয়েছে। আগামী ১১ অক্টোবর রাত ৮টায় এই সিজনের প্রথম পর্ব প্রচার হবে।