বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি ৮০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে (১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে) হয়েছে। এরমধ্যে ১ কোটি ৩০ লাখের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছর বয়সের আগেই।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা উপস্থিত ছিলেন। ইউনিসেফ আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া শিশুদের অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারের ও গ্রামে বাস করে। বাল্যবিয়ের শিকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অবিবাহিত মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। বিবাহিত প্রতি ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন ১৮ বছরের আগে ও প্রতি ৮ জন ২০ বছরের আগে সন্তান জন্ম দেয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভা। এ বিভাগে ৯০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই জেলায় বাল্যবিয়ের হার ৭৩ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম জেলায়, ৩৯ শতাংশ।
ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজ়েন্টিটিভ ভেরা মেনডোস্কা বলেন, বাল্যবিয়ে রোধে বাংলাদেশ যথেষ্ঠ উন্নতি করেছে। বাল্যবিয়ে শুধু মেয়ে ও তার পরিবারের জন্য ক্ষতিকর নয়, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার জন্যও ক্ষতিকর।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুগ্মসচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।