থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। বিক্ষোভ-সমাবেশ ঠেকাতে এই জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটিতে। একই সঙ্গে সব ধরনের জনসমাগমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা কয়েছে দেশটির গণমাধ্যমের ওপরও। মূলত ব্যাংককে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রতিহত করতেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দেওয়া এক ঘোষণায় পুলিশ বলেছে, বে-আইনি জনসমাগম ঠেকাতে এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলো।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সমাবেশের ডাক দেওয়া তিনজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচারও পদত্যাগ বছরের বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকার অভিযোগে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতা কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে। থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করেই বুধবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড।
গত জুলাই থেকে থাইল্যান্ডের ছাত্ররা বিক্ষোভ করে এলেও গত সপ্তাহে বড় জনসমাগম করে। আবারও বড় ধরনের সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।