আফগানিস্তানের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২২ জন।
সোমবার (২ নভেম্বর) কাবুল পুলিশের মুখপাত্র ফেরদাউস ফারামেরাস জানিয়েছেন নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্র-ছাত্রী।
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস (আইএসআইএস) ও ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসআইএল)। একঘণ্টা ধরে বন্দুকধারীদের চালানো হামলায় শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীর রক্তের বন্যা বয়ে গেছে।
এ নিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটলো।
হামলায় বেঁচে ফেরাদের ভাষ্যমতে, সকাল ১১টায় কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক ব্যক্তি আত্মঘাতী হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দেন। এরপর দুজন বন্দুকধারী গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা দিগদ্বিগিক ছোটছুটি শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল টপকে পালাতে থাকে। কেউ কেউ গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামিদ ওবাইদি জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে ইরানিয়ান বইমেলার উদ্বোধন করতে তারা সেখানে যাওয়ার পর পরই হামলার ঘটনা ঘটে। এই বইমেলায় আফগানিস্তান ও ইরানের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত হয়েছিলেন এবং কেউ কেউ সেখানে আসার পথে ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে হামলায় ২২ জন মারা গেছে। ২২ জন আহত হয়েছে। হামলায় তিনজন বন্দুকধারী জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে একজন শুরুতেই আত্মঘাতী হামলায় নিজেকে উড়িয়ে দেয়। বাকি দুজন হামলা শুরু করে। পরবর্তীতে নিরাপত্তাবাহিনী দুজনকে নিবৃত করে।’