প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুর কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এনডিটিভি এ খবর প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে দীর্ঘ ৩৯ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি। রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে এ অভিনেতার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়। অচল হয়ে পড়ে তার মস্তিষ্কের স্নায়ু। চিকিৎসকরাও আশার আলো দেখছেন না বলে জানান। সর্বশেষ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমালেন এই বরেণ্য শিল্পী।
গত ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পাঠানো চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল সৌমিত্র চ্যাটার্জিকে দেখতে যান। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা ট্রাকিওস্টোমি করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা মনে করেন—এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে নিশ্চিতভাবে উপকৃত হবেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি। এরপর ফুসফুসে বেশি অক্সিজেন পৌঁছে দিতে গত ১১ নভেম্বর অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জির শ্বাসনালীতে অস্ত্রোপচার (ট্রাকিওস্টোমি) করা হয়।
করোনা সংকটের কারণে দীর্ঘ দিন টলিউড ফিল্মইন্ডাস্ট্রির শুটিং বন্ধ ছিল। সতর্কতা মেনে সম্প্রতি শুটিংয়ের অনুমতি মেলে। যথাযথ সুরক্ষা মেনে শুটিংয়ে ফিরেছিলেন সৌমিত্র। নিজেকে নিয়ে তৈরি একটি তথ্যচিত্রের শুটিং করছিলেন। এর মধ্যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ অক্টোবর কলকাতার কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই শিল্পীকে। এরপর করোনামুক্ত হলেও তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে।
১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন সৌমিত্র চ্যাটার্জি। চ্যাটার্জি পরিবারের আদিবাড়ি ছিল বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কাছে কয়া গ্রামে। সৌমিত্রের দাদার আমল থেকে চ্যাটার্জি পরিবার নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে বসবাস শুরু করেন। সৌমিত্র পড়াশোনা করেন—হাওড়া জেলা স্কুল, স্কটিশ চার্চকলেজ, কলকাতার সিটি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।