অনেক দিন তোমাকে লিখি না। জানিনা কোন অভিমান এসে ভিড় করেছে, নাকি লেখার হাত অসাড় হলো। আজ থেকে আমাদের এখানে সময়ে একঘন্টা পিছিয়ে গেলাম। তাই হয়তো দিনটা ছোট হয়ে রাত বড় হলো। আচ্ছা অনেক লম্বা নাকি দীর্ঘ বলবো রাত!
নাম না জানা পাখির ডাকেই হয়তো হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল নাকি শীতের আঁচে বুঝে উঠার আগেই একটা মিষ্টি ঘ্রান এসে বলে দিয়ে গেলো তুমি আছো আশেপাশে। খুব ইচ্ছে করছি তোমার ঘ্রান নিতে কিন্তু এটাতো সম্ভব নয়। এক মুঠো শিউলি ফুল এখানে পাবো না কিন্তু পাওয়া যাবে মেপেল পাতার রঙ বাহারি তাই দিয়ে হবে তোমার নিবেদন।
জানো তো কোনো কিছু হারিয়ে যায় না, শিশিরের মতো টুপটাপ মায়া হয়ে ঝরতে থাকে মনের অলিন্দে। সবুজ ঘাসেরা যখন এখানে রঙ হারায় তখন সবুজ ধানক্ষেত আমায় ডাকে বাতাস দুলিয়ে কিংবা মাঠের পর মাঠ হলুদ সর্ষের সেই মাতাল গন্ধ আমায় নিয়ে যায় কোথায় আমি জানিনা।
অপেক্ষা কাকে বলে, তুমি কি জানো শুভ্র! কতটা ছারতে পারলে তবেই তাঁকে অপেক্ষা বলা যায়? আচ্ছা তুমি দেখেছে অগ্রাহায়ণে সোনালী ধানের মাঠ, ধান কাটা, ধান মাড়াই। কুয়াশা ভোরে কৃষানি বধুর ধান সিদ্ধ করা। আমি শুধু দেখিনি করেছি। আমি সেই দিনগুলো ফিরে পাবার অপেক্ষায় থাকি।
অপেক্ষা কতটা দীর্ঘ আমি জানিনা, একটা রাত, একটা দিন কিংবা ঝরে পরা বৃষ্টির কান্নার মতো, কখনো কখনো একটা অদেখা ভোরের মতো, ভোরের আযান না শোনার মতো। জানিনা আমি! তুমি কি জানো!
আমার অপেক্ষার ভোর আসেনা ভুল করেও, আমার অপেক্ষারা ভাষাহীন, অশ্রুহীন কান্নার মত উড়তে থাকে নীল আকাশের ভেলায়। ভাল থেকো ভালোবাসায়। তোমার নীল
_____________________ জেমী/টারন্টো/নভেম্বর ০১, ২০২০