এবিএম সালেহ উদ্দীন
যখন ভোর হল
কিছু শব্দ চলে গেল সামনে দিয়ে
চারিদিকে পড়ে গেল হইহুল্লর
কেউ কেউ বলে উঠল ‘থাকব না আর বদ্ধ ঘরে’।
প্রতিদিনের দগ্ধসূর্যকে উপেক্ষা করে
ওরা বেরিয়ে পড়ল রাজপথে ।
কেউ বলল, রাখো মিয়া এইসব ভূঁইফোড় ছারপোকার উৎপাত(?)
আঁতুরঘরেই হয়ে যাবে সাঙ্গপাত
কিন্তু মিথ্যা প্রমানিত হল তাদের কথা,
মৃত্যুর পাদপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে
সেই আগুন জ্বলে উঠল চতুর্দিকে
ইথারে ইথারে ছড়িয়ে গেল বিশ্বময় ।
প্রতিবাদের ভাষাগুলো আশঙ্ক পাখির মতো
আগুনের ফুলকি হয়ে আকাশে উড়ে…
জর্জ ফ্লয়েড,ওউরি জালহ’র রক্তের দাগ
অকালে ঝরে যাওয়া বুনা তাওহে, জিয়েদ বিনা নামের কিশোর আর শিশু হারানোর বেদনায়
ঝরেপড়া অশ্রু দানা বাঁধে পাথরের জলধারায়
কিছু জল ,কিছু শোক
কালোচিহ্নের শব্দস্বরে অহর্নিশ বুক ফাটায়…
যা দেখে দেখে
সুবিধার নৌকা থেকে কিছু লোক লাফিয়ে থুবরে পড়ে,
কিছু লোক পালিয়ে যায়।
মনে হয়
দিকে দিকে শুরু হয়েছে মুখর জাগরণ
মানবশিখা প্রজ্বলনের অগ্নিঋতু বীরত্বগাঁথা উচ্চারণ ।
হিংস্রতার কবর দেয়ার প্রত্যয়ে
আসলে
ইহা একটি সতর্ক সংকেত…