হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকাসহ এয়ার সাইডে বাইরে থেকে আনা পানি, অ্যারোসল স্প্রেসহ সব ধরনের তরল পদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত রোববার এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের (ডিএফটি) আপত্তির কারণে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) পরিচালক উইং কমান্ডার নূর এ আলম।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, শাহজালালে রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকায় যেসব কর্মীরা কাজ করেন, তারা বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট (হ্যাঙ্গার গেট) দিয়ে প্রবেশ করেন। একই সঙ্গে, রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকায় চলাচলকারী যানবহনগুলোও একই গেট দিয়ে প্রবেশ করে। এই গেট দিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই জুতা ও বেল্ট খুলে তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও স্ক্যানার মেশিনে চেক করা হয়। যানবাহনের ক্ষেত্রে চালক ও যানবাহন তল্লাশি শেষে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ মেলে। তবে অনেকেই সঙ্গে করে বাইরে থেকে আনা পানি ও কোমল পানীয় নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। ১৮ জুন থেকে তিনদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অডিট করে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি)। তিন দিনব্যাপী এ অডিট কার্যক্রমে বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্স, রানওয়ে, টার্মিনাল ভবনসহ সব স্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়ন করা হয়। ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্টের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করা গাড়িতে পানি, কোমল পানীয়, অ্যারোসল স্প্রে থাকে। এসব তরল পদার্থ কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকায় চলে যাচ্ছে। আর অ্যারোসল স্প্রে দাহ্য পদার্থ হওয়ায় বিমানবন্দরে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
অন্যদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বোতলে পানি বা কোমল পানীয়ের বদলে তরল বিস্ফোরক, অ্যাসিড, দাহ্য তরল পদার্থ বহনের ঝুঁকি থাকায় আপত্তি ডিএফটির। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরের এয়ার সাইডে তরল পদার্থ বহনে বিধিনিষেধ রয়েছে।