বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চাই। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শীতকালীন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা এই সব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেছনের সরকার সমুদ্রসীমা উদ্ধারের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি এবং সফল হয়েছি। ২৭টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনী হয়েছে নৌবাহিনী।’
নৌবাহিনীর নবীন অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। নবীন অফিসার তোমরা জাতির পিতার আদেশ মেনে চলবে। তিনি জাতির জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন।’
নারী নৌ অফিসারদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের কোনো স্থান ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে মেয়েরা যেন অংশগ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করি।’
মুজিববর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। তবে এই মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুটি কাজ আমরা সফলভাবে করার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না এই লক্ষ্যে ভূমিহীন মানুষদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘যে জাতি নিজেকে সম্মান করতে পারে না, আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে পারে না, সে জাতি দুনিয়ায় কখনও বড় হতে পারে না, সেজন্য আমরা আত্মমর্যাদা বিশিষ্ট জাতি হিসেবে বাস করতে চাই।’ আমরা অন্য কারও ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না, অন্য কেউ আমাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক তাও আমরা চাই না। আমরা এই নীতিতে বিশ্বাসী। ’’