আমেরিকার ওয়াশিংটনের পার্লামেন্ট ভবনে সহিংসতায় অংশগ্রহণকারী সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প।
এর মধ্যে পার্লামেন্ট ভবনে লকডাউন জারি করা হয়েছে। আরো সহিংসতার আশঙ্কায় ন্যাশনাল গার্ড তলবের পর থেকে সান্ধ্য আইন জারি করেছেন স্থানীয় মেয়র মিউরিয়েল বাউসার।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইন-প্রণেতারা আজ বুধবার কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে বসেন। উভয় কক্ষের এই অধিবেশনে পপুলার ভোটের ভিত্তিতে ইলেকটোরাল কলেজের দেওয়া ভোটগুলো গণনা হয় এবং তা চূড়ান্তভাবে প্রত্যয়ন করা হয়। অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগেই এর বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনে জড়ো হন কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক, যাদের মধ্যে উগ্রপন্থি বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরাও রয়েছেন। সেই সমাবেশে বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, এই সমাবেশের কিছুটা দূরে গিয়ে কয়েক শ ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এক পর্যায়ে কংগ্রেসের অধিবেশন চলার মধ্যেই পুলিশের বাধা ভেঙে ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে পড়েন তারা। ভবনে ধ্বংসযজ্ঞও চালানো হয়।
এই পরিস্থিতি দেখে টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ইউএস ক্যাপিটলে অবস্থানরত সবাইকে আমি শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো সহিংসতা চলবে না। মনে রাখবেন, আমরা আইনকানুন মেনে চলা দল, আইন মেনে চলুন। ধন্যবাদ।’
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিক্ষোভরত ট্রাম্প সমর্থকরা পার্লামেন্ট ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ‘ভোট চুরি বন্ধ করো’ শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ভবনের বিভিন্ন অংশ গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে তাদের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে।
ট্রাম্প সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমরা কখনোই হাল ছাড়বো না, আমরা কখনোই স্বীকার করবো না। আমরা জালিয়াতি রুখে দিবো।