ইকুয়েডরের রেফারি রডি জামব্রানো ছিলেন সে ম্যাচের দায়িত্বে। তাঁর ওপরেই খেপেছেন মেসি। ন্যায্য দুটি পেনাল্টি দেননি এই রডি জামব্রানো, মেসি এমনটাই বলেছেন। জামব্রানো উল্টো দোষ দিয়েছেন ভিএআরকে। স্বীকার করেছেন, তিনি যাতে পেনাল্টি দুটির ক্ষেত্রে ভিএআরের সাহায্য নেন, ভিএআর রেফারি লিওনিদ গঞ্জালেসের উচিত ছিল তাঁকে বলা, ‘ওটামেন্ডির পেনাল্টির ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, আমার কাছে মনে হয়েছে সে নিজেই ফাউলের শিকার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। আর্থার মেলো ওকে কনুই মারেনি। বিষয়টা ভিএআর রেফারি দেখে আমাকে জানিয়েছিল, ৫০-৫০ সম্ভাবনা আছে পেনাল্টি দেওয়ার। তাদের কাছে মনে হয়নি এটার জন্য পেনাল্টি হতে পারে। কিন্তু পরদিন আমি যখন ফাউলটা ভালোভাবে দেখলাম, তখন আমার কাছে মনে হয়েছে ভিএআরের সহায়তা নেওয়া আসলেই উচিত ছিল। আমি যেন ভিএআরের সাহায্য নিই, সে ব্যাপারে আমাকে বলা উচিত ছিল তাদের।’
ওদিকে ভিএআর রেফারি লিওনিদ গঞ্জালেস উল্টো জামব্রানোর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বলেছেন, জামব্রানোকে বলা হয়েছিল ভিএআরের সাহায্য নেওয়ার জন্য, কিন্তু তিনি সাহায্য নেননি!
তবে লিওনেল মেসির অভিযোগ শুনে বেশ কষ্ট পেয়েছেন জামব্রানো, ‘মেসি এই খেলার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। তবে ওর কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাশা করিনি। তাও, দিন শেষে সবারই নিজস্ব মতামত থাকে।’