সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে আম্পায়ারের এক ভুলের জন্য পাল্টে গেলো ফাইনালের চিত্র। সেই ভুলটাই এক নাটকীয়তায় রূপ নেয়। মূল ওভার থেকে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। কিন্তু সেখানে ফলাফল আসেনি তাই বাউন্ডারি হিসেবে শিরোপা জেতে ইংল্যান্ড। আর আম্পায়ারের ভুলের যার মাশুল দিতে হয়েছিলো নিউজিল্যান্ডকে। শিরোপা জয় থেকে বঞ্চিত হয় কেন উলিয়ামসনরা। বিশ্বকাপের মতো ফাইনাল ম্যাচে ভুলটা করেছিলেন কুমার ধর্মসেনা। ৫ রানের জায়গায় ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেন তিনি।
বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে কিন্তু এটা নিয়ে বিতর্ক এখনো শেষ হয়নি। ফাইনাল ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। নিজ দেশের প্রথমসারির পত্রিকা দ্য আইল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ধর্মসেনা বলেছেন, তিনি ভুল করেছিলেন। এমনকি ওভার থ্রোর আইন পরিবর্তনের দাবিও জানিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী এ আম্পায়ার।
সেদিন লডর্সে নির্ধারিত শেষ ওভারের ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিলো ইংল্যান্ডের। তখন নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডার মার্টিন গাপটিলের ওভার থ্রো’ ক্রিজে থাকা বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে সেটা বাউন্ডারি হয়ে যায়। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ৬ (২+৪) রানের সিদ্ধান্ত দেন। এ বিষয় নিয়ে সেদিন কোনো কথা হয়নি। কিন্তু ফাইনালের পরের দিন অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার সাইমন টফেল বলেন, ইংল্যান্ড আসলে ৫ রান পেত। কারণ গাপটিল যখন থ্রো করেন, তখন দুই ব্যাটসম্যান স্টোকস ও আদিল রশিদ একে অপরকে ক্রস করেননি।
সিদ্ধান্ত দেওয়া নিয়ে আইসল্যান্ডকে ধর্মসেনা বলেন, ‘আমার সহকর্মী মারাইস ইরাসমাসের সঙ্গে পরামর্শ করেই কল দিয়েছি। এটা নো বল এবং ওয়াইড বলের মতো কল, তাই আমি থার্ড আম্পায়ারের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারিনি। আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম ব্যাটসম্যানরা একে অপরকে ক্রস করেছেন। দেখে মনে হলো সে পপিং ক্রিজে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল।’
কিন্তু ধর্মসেনা এখন নিজেই অনুতপ্ত, ‘আমি স্বীকার করছি যে আমি ভুল ছিলাম। আমি এটাও স্বীকার করছি এই নিয়মের পরিবর্তন দরকার। যদি বল স্টাম্পে আঘাত করে এবং বাউন্ডারি হয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু ব্যাটে বা ব্যাটসম্যানের গায়ে হিট করার মুহূর্তে বলটা ডেথ বল হয়ে যাওয়া উচিত।’