নোয়াখালীর ভাসানচরে আরো ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে। ভাসানচরে যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩৪৭ জন, নারী ৪০৫ জন এবং শিশু ৭১৫ জন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে তারা ভাসানচরে পৌঁছান। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে পাঁচটি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৩৮টি বাসে করে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নেওয়া হয়। রাতে চট্টগ্রামের বিএফ শাহিন কলেজ ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয় তাদের। শনিবার সকাল ৯টায় নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়া হয়।
ভাসানচরে দায়িত্বরত নৌবাহিনীর কমোডর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ওয়্যারহাউজ-১ এ সমবেত করে ব্রিফ করা হয়। পরে তাদের ভাসানচরের ২৩, ২৪ এবং ২৫ নম্বর ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আরআরআরসির মাধ্যমে তিন দিন খাবার দেওয়া হবে। পরে তাদের রেশন দেওয়া হবে।
গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ভাসানচরে যায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ভাসানচরে যান ১ হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা।