করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হচ্ছে রোববার থেকে।দেশব্যাপী বিস্তৃত টিকাদান কর্মসূচি শুরুর করার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।এজন্য রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। অর্থাৎ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
ভ্যাকসিন বিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকাতে ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি টিম কাজ করবে, সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি। তবে আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে কালকের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।আজ ঢাকার অনেক কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখা হয়েছে। সবগুলোতেই মোটামুটি প্রস্তুতি ভালো। আমরা আশা করছি, কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই আমরা টিকার কাজ শুরু করতে পারবো।
প্রথম পর্যায়ে ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখ ২৮ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছেন। তবে এ নিবন্ধনের হার কম। তা ছাড়া নিবন্ধন অ্যাপও চালু হয়নি। এ পর্যন্ত যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের অনেকেই জানেন না কবে তাঁরা টিকা নিতে পারবেন। টিকা নেওয়ার ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণাও কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রোববার যাঁরা টিকা নেবেন, তাঁদের অনেকের কাছেই শনিবার বিকেলের মধ্যে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পৌঁছে গেছে। যাঁরা নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের তালিকা দেশের সব টিকাকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। কেন্দ্র থেকে কোন দিন কারা টিকা নেবেন, সেটা নির্ধারণ করা হবে।