অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া ইতিহাসে প্রথম কোনো আদিবাসী নারী হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলা ফেইথ থমাস মারা গেছেন। ৯০ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফেইথ থমাস প্রথম কোনো আদিবাসী নারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের হয়ে ১৯৫৮ সালে মেলবোর্নে খেলেন। তিনি একজন পেসার ছিলেন।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া এই সাহসী নারীর ক্রিকেটের শুরুটা ছিল রূপকথার গল্পের মতো। ছোটবেলায় তাদের ব্যাট বলে কিছু ছিল না। হাতে তৈরি ব্যাট দিয়ে খেলতেন। বল না থাকলে খেলতেন পাথর দিয়ে।
যখন তিনি রয়্যাল অ্যাডিলেড হাসপাতালে নার্সিং পড়ার জন্য সুযোগ পান তখন তিনি হকি ও ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।
প্রথমে তিনি অ্যাডিলেডে ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। কিছুদিন পরই সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পান। তার এক বছরের মাথায় অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে ডাক পান টেস্ট খেলার জন্য। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ড সফরের দলে ডাক পেলেও সফরে না গিয়ে নার্সিং পড়াশুনায় মনোযোগ দেন।
প্রথম আদিবাসী নারী হিসেবে ক্রিকেট খেলে অবদান রাখায় ২০১৯ সালে তিনি মর্যাদাকর ‘অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ পুরস্কারে ভূষিত হন। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স প্রতি বছর তার সম্মানে নারী বিগ ব্যাশে ‘ফেইথ থমাস ট্রফি’ খেলে।
তার মৃত্যুতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ফেইথ থমাস ক্রিকেটে ও তার কমিউনিটির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছিলেন প্রথম নারী হিসেবে খেলে। আজ আমাদের জন্য খুবই কষ্টের একটি দিন। প্রথম আদিবাসী নারী হিসেবে ক্রিকেট খেলে তিনি যে পথ তৈরি করেছিলেন সে পথ ধরে পরবর্তীতে অনেকেই ক্রিকেটে এসেছে। একজন নার্স ও মিডওয়াইফ হিসেবেও তার অবদান অসামান্য। তার মৃত্যুতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে শোক জানাচ্ছি এবং তার বন্ধু-বান্ধব, সতীর্থ ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’