অস্ত্র আইনের মামলায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদের আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার সাক্ষ্য। আরাভ খান পলাতক থাকায় তার পক্ষে জেরা করা যায়নি। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করা হয়।
আগামী ১৩ এপ্রিল আসামির আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
পলাতক আসামির আত্মপক্ষ শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ.কে. এম সালাউদ্দিন বলেন, এটা একটা প্রসেস। শেষ সময়ে এসেও আসামি আত্মসমর্পণ করেন। আমরা আশা করছি, আরাভ খানও আত্মসমর্পণ করবেন। এজন্য ১৩ এপ্রিল আরাভ খানের আত্মপক্ষ শুনানির জন্য তারিখ রাখা হয়েছে।
এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবীর আশা, আরাভ খানের সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড হবে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় ওই দিনই আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।