শরীরে চুলকানি হলো সবচেয়ে অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি। ত্বকের বেশিরভাগ চুলকানিই নিরীহ প্রকৃতির। ত্বকের শুষ্কতা ও কীটের কামড়ের মতো সাধারণ কারণে ত্বক চুলকাতে পারে। ত্বকের সমস্যা ও কিছু মারাত্মক রোগেও ত্বক চুলকাতে পারে।
ত্বকের চুলকানিতে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা দারুণ কার্যকর হতে পারে। ঘরোয়া উপায় অবলম্বনের পরও চুলকানি না কমলে ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। এখানে ত্বকের চুলকানি প্রশমনে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো।
- চুলকানির সর্বোত্তম ঘরোয়া সমাধান সম্ভবত আপনার কিচেনেই রয়েছে। ত্বকের হাইড্রেশনের জন্য অলিভ অয়েল বা কোকোনাট অয়েল বেশ কার্যকর। ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি প্রতিরোধে বা প্রতিকারে ত্বকে অলিভ অয়েল বা কোকোনাট অয়েল মাখতে পারেন।
- চুলকানি দূর করতে আপনার গোসলের পানিতে ওটমিল মেশাতে পারেন। চুলকানি থেকে স্বস্তি পেতে গোসলের পানিতে কলোইডাল ওটস মিশিয়ে গোসল করে নিন। কলোইডাল ওটমিলস মিশ্রিত পানিতে গোসল করলে প্রদাহ কমে ও ত্বকের ওপর স্বস্তিদায়ক আবরণ পড়ে। যে পানিতে ওটমিল মেশাবেন তা কুসুম গরম হলে ভালো হয়।
- ত্বককে চুলকানি থেকে আরাম দিতে ডালডা ঘি বা ভেজিটেবল শর্টেনিং ব্যবহার করতে পারেন। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটা একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার। একজিমা প্রবণ ত্বকে ডালডা ঘিয়ের ব্যবহারে ত্বক আর্দ্র হবে ও চুলকানি কমবে। খাঁটি ডালডা ঘি কিনছেন কিনা নিশ্চিত হোন।
- কিছুক্ষেত্রে চুলকানি বাইর থেকে নয়, শরীরের ভেতর থেকে উদ্দীপ্ত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শরীর পানিশূন্যতায় ভুগলে ত্বক চুলকাতে পারে। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পানে সমস্যাটি দূর হতে পারে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখলে ত্বকও হাইড্রেটেড থাকবে।