টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন লিটন দাস। বুধবার (২৩ মার্চ, ২০২৩) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বলে ফিফটি পেয়েছেন মারকুটে ওপেনার।
রেকর্ড গড়তে লিটন ভেঙেছেন মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আশরাফুল ২০ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১৬ বছর পর আশরাফুলের চেয়ে ২ বল কম খেলে রেকর্ড ছুঁয়েছেন লিটন। মাইলফলক ছুঁতে ৫ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন তিনি। আশরাফুল মেরেছিলেন ৭ চার ও ৩ ছক্কা।
বলের হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম চার ফিফটির দুটিই লিটনের। আজকের আগে ২১ বলে ফিফটি ছিল তার। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ২১ বলে ফিফটি তুলেছিলেন ডানহাতি ওপেনার।
আজ ব্যাটিংয়ের শুরুতে একদমই বোঝা যায়নি লিটন ঝড় তুলবেন। প্রথম চার বলে পেয়েছিলেন কেবল ৫ রান। পঞ্চম বলে পেয়েছেন প্রথম বাউন্ডারি। এরপর আর তাকে থামানো যায়নি। ১৮ বলে ফিফটি পাওয়ার আগে কোনো ডটবল খেলেননি। চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে এলোমেলো করে দেন আইরিশদের বোলিং আক্রমণ।
আরেকপ্রান্তে রনিও থেমে থাকেননি। সমানতালে আক্রমণ চালিয়েছেন। কিন্তু লিটনের ঝড়ে রনির ব্যাটিং ম্লান হয়ে গিয়েছিল। দুজনের ব্যাটে ৩.৩ ওভারে বাংলাদেশ দলীয় পঞ্চাশ রান পায়। যা দ্রুততম দলীয় ফিফটি। এরপর এক’শ রানেও দ্রুত পৌঁছায়। বাংলাদেশ দলীয় ১০০ রানে পৌঁছায় ৪৩ বলে।
এদিকে উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড রান করেছেন রনি ও লিটন। ১২৪ রান করেছেন তারা। যা টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকারের ১০২ রান ছিল সর্বোচ্চ। এছাড়া সবধরণের উইকেট হিসেবে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। তামিম ও মাহমুদউল্লাহ ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে ১৩২ রান করেছিলেন। যা এখনো শীর্ষে রয়েছে। রনির বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়ক।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটি:
লিটন ১৮ বল,
আশরাফুল ২০ বল,
লিটন ২১ বল,
মুশফিকুর রহিম ২৪ বল,
লিটন ২৪ বল।