বিবিসি জানিয়েছে, রোববার সেখানে দাঁড়িয়ে দুই নেতা হ্যান্ডশেক করার পর কিম বলেন, এই জায়গায় তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে মিলিত হবেন এমন প্রত্যাশা কখনও করেননি।
এরপর ট্রাম্প সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন; এটাই কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের উত্তর কোরিয়ায় পা রাখার প্রথম ঘটনা।
কিমের আমন্ত্রণে তিনি উত্তর কোরিয়ায় সীমান্ত অতিক্রম করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার ‘সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে গর্ববোধ’ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তারা উত্তর কোরিয়ার ভিতরে ১০ কদমের মতো হেঁটে আবার ফিরে এসে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনকে শুভেচ্ছা জানান কিম।
সেখানে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী ডিমিলিটারাইজ জোনে (ডিএমজেড) দুই নেতা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে প্রত্যাশা করেননি বলে জানিয়েছেন বিবিসির প্রতিনিধি।
সংবাদ সম্মেলনে কিম তাদের এই সাক্ষাৎকারকে ‘অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য’ বর্ণনা করে বলেন, “এর মানে হচ্ছে আমরা সহজ হতে পারি এবং ইতিবাচক উত্তর নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি।
“আমার বিশ্বাস এটি ভবিষ্যতে আমাদের সব ধরনের আলোচনায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।”
আর ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি বিশেষ মূহুর্ত, আমার মনে হয় এটি সত্যিই- প্রেসিডেন্ট মুন যেমন বলেছেন- এটি একটি ঐতিহাসিক মূহুর্ত, ঘটনা হচ্ছে আমারা আলোচনা করছি।
“এই অন্য কিছুর জন্য আমি চেয়ারম্যান কিমকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই কথা যখন আমি জানালাম, তিনি যদি সাড়া না দিতেন গণমাধ্যমে আমাকে খুব খারাপভাবে উপস্থাপন করা হতো, তাই আপনি আমাদের উভয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন এবং এর প্রশংসা করছি।
“আমরা খুব ভাল একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছি, আমি সত্যিই ভাবি আপনারা যদি আড়াই বছর আগে যান আর দেখেন আমার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে কী হচ্ছিল, তখন পরিস্থিতি খুব খুব খারাপ ছিল, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও বিশ্বের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি ছিল।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি কিমকে বলেন, “আমি আপনার সঙ্গ উপভোগ করছি।”
এরপর তারা জয়েন্ট সিকিউরিটি এলাকায় (জেএসএ) ব্যক্তিগতভাবে আলোচনায় বসেন।
কিমের সঙ্গে প্রায় ৫০ মিনিট আলোচনার পর ট্রাম্প উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তার জন্য হ্যানয় সম্মেলন সফল ছিল এবং তারা দুই নেতা তাদের সম্পর্ক ধরে রাখতে সক্ষম ছিলেন।